জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে কবিতা 'জীবন মৃত্যু'।

আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৪৪

জীবন মৃত্যু

জীবন এক অনিত্য কায়া, ভরা মোহ আর মায়া।
নিয়ে সুখ দুঃখ ভালবাসা আর হিংসা বিদ্বেষ
মনের তাড়নায় চলে শেষমেশ হয় নিঃশেষ।

ধনী দরিদ্র সাদা কালো নির্বিশেষ
শূন্য দিয়ে শুরু হয়ে শূন্যতেই হয় শেষ।
প্রভুর এ ভবে মৃত্যু দিয়ে সব শেষ হবে
তার পর কি হবে, সব তা অজানা রয়ে যাবে।

জন্ম মৃত্যুর মাঝখানটা বোঝা সুদূর
প্রতিযোগিতার মেলা, যেন কাড়া কাড়ির খেলা।
তা নিয়েই কেটে যায় বেলা।

কে কত দিল নিল, কি নিয়ে সে এসেছিল
সে হিসেব মুখ্য নয় এ ধরায়।
কে কত নিল কার থেকে কম বেশী হল
কেবল সে হিসেব নিয়ে ব্যস্ত রয়।

অবশেষে জীবন সায়াহ্নে এসে
কিছুই পারে না নিতে সাথে।
সবই তার পড়ে রয় বিধাতার এ ধরায় শেষে
যা করেছে আয় ব্যয় জীবনের পথে।

দেয়াটা বিধাতার গুন নেয়াটা নয়।
যে যা নেয় তা চর্ম চক্ষুতে দেখা যায়
কিন্তু সেটাই শেষ সত্যি নয়।

মানুষ এ ভবে আসে, ক্ষণেকের আবাসে
শেষ হয়ে কি হয়! তা দেখাটা কারো ভাগ্যে না হয়।
তবে এ কথা জেন, তিনি দেয়ার প্রভু নেয়ার নয়
যা কিছু প্রভু নেয় সবই তা ভালোর জন্য এ ধরায়।

জাহানের চালক তিনি, নেই যার কোন প্রয়োজন জানি
যা কিছু নেন তার শত গুন দেন ফিরিয়ে তিনি।

সাগরের নোনা পানি, বাচাই সামুদ্রিক প্রাণী
সে পানি আকাশে তুলে, সব খাদ ধুয়ে ফেলে
মিঠা করে সে পানি ফিরিয়ে দেয় ধরায়।

সামুদ্রিক প্রাণী আর মানুষ বানিয়েছেন যিনি
নেয়া দেয়া করে একই পানি সকলকে বাচান তিনি।

এ জীবনের কি অর্থ! প্রভুরই বা কি উদ্দেশ্য কি স্বার্থ!
সবই তা অজানা অজ্ঞেয়।
এ দুনিয়াই প্রভুর প্রতিনিধি হয়ে এসেছে যারা
সবাই একমত পোষণ করেনি তারা।

থাকুক যে যা বেশে, খাঁচা ছেড়ে শেষে
আত্মা উড়ে যায় ঊর্ধ্বাকাশে
মিশে যায় তা আপন ভুবনে অবশেষে।

জীবন যদি অমরাত্মার ক্ষণেকের বাসস্থান হয়
তবে মৃত্যুতেই সে জীবন অর্থবহ হয়।