মানুষের অধিকার (হাক্কুল ইবাদ)

আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৩৭

ইসলামে মানুষের অধিকার (হাক্কুল ইবাদ) এর উপর অধিক গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

মহান আল্লাহ পবিত্র কোরআনে ইরশাদ করেন, ‘তোমরা ইবাদত করো আল্লাহর, তার সঙ্গে কোনো কিছুকে শরিক করো না। আর সদ্ব্যবহার করো মাতা-পিতার সঙ্গে, নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে, এতিম, মিসকিন, নিকটাত্মীয়-প্রতিবেশী, অনাত্মীয়-প্রতিবেশী, পার্শ্ববর্তী সাথি, মুসাফির এবং তোমাদের মালিকানাভুক্ত দাস-দাসীদের সঙ্গে। নিশ্চয়ই আল্লাহ পছন্দ করেন না, তাদের যারা দাম্ভিক, অহংকারী।’ (সুরা আন নিসা : ৩৬)।
হাদিস (Saheeh Muslim (2581) from Abu Hurayrah) শরিফে নবী করিম (সা.) ইরশাদ করেনঃ
“তোমারা কি জান দেওলিয়া কি?
তারা বলল- “আমাদের মধ্যে দেওলিয়া তারা যাদের কোন টাকা পয়সা ধন দৌলত নেই”।
নবী করিম (সা.) বললেন- “আমার উম্মার মধ্যে তারাই দেওলিয়া, যারা রোজ হাসরে তাদের নামাজ, রোজা আর যাকাত নিয়ে আসবে কিন্তু সাথে কাউকে অপমান করা, কারো বিরুদ্ধে কুৎসা রটনা করা, কারো ধন ফাঁকি দিয়ে বা প্রহর করে রক্তাক্ত করার মত কর্ম নিয়ে আসবে। তাদের সকলকেই ভাল কাজের প্রতিদান দেয়া হবে, কিন্তু তার অপকর্মের হিসাব মিটাতে ভাল কাজগুলো যখন শেষ হয়ে যাবে তখন তাদেরকে দোজকের আগুনে নিক্ষেপ করা হবে”।
পাপ যদি কোন ‘ব্যক্তি আর প্রভুর ভিতর হয়’ তবে আন্তরিক ভাবে অনুতাপ অনুশোচনা করলে আল্লাহ সুভানাতায়ালা ইচ্ছে করলে তা ক্ষমা করতে পারেন। কিন্তু পাপ যদি ‘অন্য বান্দার সাথে’ সম্পৃক্ত হয় তবে কোন অনুতাপ অনুশোচনায় কার্যকরী হবে না, যদি না পাপকারী ভুক্তভুগি ব্যক্তির সাথে মিটমাট না করে। (Al-Qurtubi at-Tadhkirah (p. 53) এবং (al-Jaami‘ li Ahkaam al- Qur’an (18/199))