জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'প্রভুর দয়া'।

আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১২:৩২

প্রভুর দয়া

 

মানুষ যখন শক্তির জোরে পশুকে হত্যা করে
পশু রক্তাক্ত হয়, গোঙায় তবুও ছটফটায়।
বাচার তরে লাথি মারে, কামড়াই গুঁতায়
এটাই সত্য, ঘটে নিত্য এ ভুবন ভরে।

জীবন বাচাতে সকল প্রাণী অকুতভয়
হোক তা খাবার বা ধর্মীয় আচার বা রাজ্য জয়।

স্বর্গীয় আত্মাকে দেহ রাখে দেহতরীতে যার যার।
দেহ খাটায় শক্তি এমনিতে দেয় না মুক্তি, আত্মার।
হয় না ক্ষান্ত, লড়ে শেষ পর্যন্ত
বিনা যুদ্ধে মেনে নেয় না দেহান্ত।

এ সব প্রভুর সৃষ্টি রীতি, তাঁর ভুবনে তাঁরই পদ্ধতি
শক্তি বুদ্ধি আর কৌশলে, করে বাচার লড়াই সকলে
কিন্তু হায় বাধা সবাই! প্রভু নির্ধারিত শৃঙ্খলে।

পশুত্ব যদি ভর করে মানুষের উপরে
তবে অপকর্মে তার সব জানোয়ার লজ্জা পায়।
হায়! এ দুনিয়াই, অন্য কোন প্রাণী নয়
মানুষই কেবল মাতৃ পিতৃ ভ্রাতৃ ভগ্নি হন্তা হয়।

মানুষকে দিয়েছে বিধাতা, বিচার বুদ্ধি ও শক্তি যথা
কিন্তু তা সমান নয়, কম বেশী আছে সেথা।

মানুষ পশু জনে জনে, নিজ নিজ প্রয়োজনে
বুদ্ধি আর শক্তি দিয়ে এ বিশ্ব চরাচরে
সারা জীনব ধরে প্রতিপক্ষকে আঘাত করে।

প্রশ্ন জাগে প্রতিক্ষণে সব চিন্তাশীল মনে
ন্যায় অন্যায় ভেদে সব সময়
দেখা যায়, বুদ্ধি আর শক্তির জয় হয়।
তাহলে এ দুনিয়াই বিধাতা কোথায়!

প্রভু দয়ার আঁধার, দয়ায় ভরা হৃদয় তাঁর
দেহান্তের ক্ষমতা আছে কেবল বিধাতার
আর সেটাই তাঁর বড় দয়া এ ভুবন ভর।

আঘাত রক্ত ঝরায়, জীবের কষ্ট হয়
একমাত্র দেহান্তই সে কষ্ট থেকে চির মুক্তি দেয়।

প্রমথিতের মত একদিন শেষে
দেহান্ত দিয়ে করে ক্ষান্ত প্রভু নিহন্তাকেও অবশেষে
বাচায় পৃথিবীকে তার অত্যাচার থেকে।

দেহান্ত প্রভুর দয়ার তন্ত্র, না থাকলে এ ধরায়
এ ধরা যেত ভরে, নিহন্তার অত্যচারে
আর প্রমথিতের কান্নায়।