জীবনের অর্থ খোঁজার প্রয়াসে ছন্দ কবিতা 'কে আমি!'

আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ১৪:৪৬

কে আমি!

 

যে সুখের পিছে জীবন ভর ধেয়েছি মিছে মিছে
সেই তুমি বুকে বসে ডাকিছ সদা
আমি অবুঝ কেবল দিয়েছি তাতে বাধা।

বলেছি কেবল না না, যদিও আছে আমার জানা;

অবুঝ শিশুটি কেবলি কাদে
খেলা ফেলে না পড়তে ঘুমের ফাঁদে।
ঘুমিয়ে যখন পড়ে, চোখের পাতা একটুও না নড়ে।
আহ কি শান্তি, কি তৃপ্তি, কি মুক্তি!
কোথায় তারা, কোথায় সে কুড়ানো শুক্তি!

খোজে না সে কারো, চায় না সে কিছু আরো।
মানিক গিয়েছে অমৃত গড়ে
থাকলো যা নিয়েছিল সব পিছে পড়ে।

বুকের মাঝে বসি ধুকধুকিয়ে বলেছ দিবানিশি
ফিরে চল মানিক আমার।
এ পারে যা কিছু ধাবিছ পিছু পিছু
সব তা মিছে সোনা মরিচিকা শুধু
আবাস যে ওপারে তোমার।

না বুঝে সে কথা কেবল দিয়েছি তোমাকে ব্যথা
পাহাড়ে সাগরে করে টানাটানি
মণিমাণিক্যের খোঁজ আনি।
কি যে চাও তুমি! অধম মূর্খ আমি
একবারও ভাবিনি সে কথা।

তড়িৎ লহ মোরে বুকে করে, নিবৃত কর এ যন্ত্রণা ভার
খুঁজেছি যারে জীবন ভর মিটাতে এ যাতনা মোর
তুমিই সে ধাঁধা সে অমৃত সুধা।

বুঝিলাম অবশেষে জীবন সায়াহ্নে এসে
দূরে রাখি ঠেলে যারে সারাক্ষণ
সেইই যে ওরে অতি আপন জন।

যত শ্রম যত চেষ্টা মম পাপ বা পুণ্য
সোনা মানিক, সবই তো তোমার জন্য।
জানো তুমি স্বর্গীয় আত্মা, জানে বিধাতা।

কতবার কতভাবে জানা ও অজানা সুরে
শুধালাম তারে কত আকুতি করে;
দিয়েছি শূন্য করে যা চিল মম
ক্লান্ত অবসন্ন আমি একটু তাকাও একটু থামো।

জীবন সায়াহ্নে হিসাব মিলায়
কি তাঁকে দিলাম কি সে চায়?

স্বর্গ থেকে এসেছিলে স্বর্গে যাবে চলে
মর্তের তাকে মাটি নেবে বুকে
হায়! আমি যে কে তা?
কেউ বলে গেল না সে কথা।