জীবন থেকে নেয়া কাহিনী অবলম্বনে রচিত ধারাবাহিক উপন্যাস 'জীবনের অন্য পিঠ' পর্ব -৩।

আপডেট: ২৮ মে ২০২৩, ১৩:২৯

জীবনের অন্য পিঠ পর্ব -৩। 

 

রামদয়াল আজন্ম চৌধুরী এষ্টেট আকড়ে পড়ে আছে, দুখী মানুষের পাশে দাড়িয়েছে, ওদের চিকিৎসা করছে। কোন কিছুর বিনিময়ে নয় কেবল ভালবাসার টানে। এখানকার সবকিছুর সাথে ওর নাড়ীর সম্পর্ক। দিনে দিনে ওর শরীর মন চৌধুরী এষ্টেটের সাথে, এখানকার মানুষের সাথে মিলে মিশে একাকার হয়ে গেছে।
নিজের শরীর মনের লিখিত পরিসংখ্যন রেখে কি কেউ জীবন চালায়!
প্রগতির জন্য, সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য পরিসংখ্যান রাখার প্রয়োজনীতা রামদয়াল বোঝে। কিন্তু কি করবে এখন রামদয়াল!
ঔষধি গাছের বাগান বা রোগীর কোন ব্যপারেই প্রকৃত অর্থে কোন হিসেব ওর কাছে নেই। হিসেবের ব্যপারে চিরকালই কাঁচা রামদয়াল। হিসেবের ব্যপারটাতে এক ধরণের অনীহা আছে রামদয়ালের।

রামচন্দ্র রামদয়ালের বাবা। জমিদার আসগর চৌধুরীর খুবই বিশ্বাসভাজন ছিলেন। ছেলে আমির চৌধুরী নিজের কাজ কর্ম নিয়ে রাজধানী শহরে চৌধুরী লজে থাকে। বলতে গেলে ছেলের সাথে সব যোগাযোগ রামচন্দ্রের মাধ্যমেই হত।
রামচন্দ্রের স্ত্রী, ধরিত্রী ছেলেটাকে জন্ম দেয়ার কয়েক বছর পর থেকেই অুসুস্থ। ওর তল পেটে খুবই ব্যথা। রামচন্দ্রের চিকিৎসার উপর নির্ভর করে ভালো খারাপের মধ্যে দিয়ে দিন কাটে।
আসগর চৌধুরী তা জানতে পেরে স্ত্রীকে ভালো চিকিৎসা না করানোর জন্য বকাবকি করলেন রামচন্দ্রকে। কালক্ষেপন না করে ওকে শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করে আমিরকে একটা চিঠি লিখে শহরের ভালো ডাক্তার দেখানোর জন্য বললেন।
স্ত্রীকে নিয়ে রওয়ানা হলো রামচন্দ্র। রামদয়ালের বয়স তখন দশ। ছেলের কান্নাকাটিতে ওকেও সাথে নিলেন। তাছাড়া রামদয়াল ছিল ওর বাবার ছায়ার মত সবসময়ই বাবার সাথে সাথেই থাকতো। ছেলেকে ছাড়া রামচন্দ্রও শান্তি পাচ্ছিলো না।
রাজধানীতে জমিদারের মস্তবড় বাড়ী, চৌধুরী লজ। প্রায় এক একর জমির উপর বাড়ীটা। আমির ওর স্ত্রী আর ছেলে মেয়ে নিয়ে থাকে ওখানে। রামদয়ালের বয়সের একটা মেয়ে নাম অনিমা আর দুই বছরের অমর।
বাবার চিঠি পড়ে আমির চৌধুরী খুব তৎপর হয়ে উঠলেন। তাছাড়া রামচন্দ্রকে আমির চৌধুরী বিশেষ শ্রদ্ধার চোখেই দেখতেন। তায় ওর স্ত্রীকে ভাল ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়াটা সে গুরূত্বের সাথে করার সব ব্যবস্থা করলেন।
পরদিনই নিজে সাথে করে ওকে বড় হাসপাতালে নিয়ে গেলেন।
ডাক্তার অনেকগুলো ব্যপারে টেষ্ট করানোর পরামর্শ দিলেন। পরের দুতিন দিন ধরে ওর স্ত্রীর যাবতীয় টেষ্ট, এক্সরে ইত্যাদি করা হলো।
সব রিপোর্ট গুলো দেখে ডাক্তার চিকিৎসার ব্যবস্থা করবেন বলে জানালেন। রিপোর্টগুলো পেতে কয়েকদিন সময় লাগবে।
আমির চৌধুরী ওদেরকে অভয় দিয়ে বাসায় বিশ্রাম নিতে বললেন।
সপ্তাহ খানেক পর রিপোর্টগুলো নিয়ে আমির চৌধুরী গেলেন ডাক্তারের কাছে। সন্ধ্যার একটু আগে ফিরে হাসি হাসি মুখে চিন্তার কোন কারণ নেই বলে আশ্বস্ত করে ঔষধপত্র গুলো খাওয়ার নিয়ম বুঝিয়ে দিলেন রামচন্দ্রকে।
সে রাতে রামচন্দ্রকে ওর রূমে ডেকে পাঠালেন আমির চৌধুরী। রামদয়ালও গেল বাবার পিছে পিছে।
-ভালোই হয়েছে, রামদয়াল বড় হচ্ছে ওরও সবকিছু জানা দরকার। ভাবল রামচন্দ্র।
ছেলেকে নিয়ে রামচন্দ্র ঢুকলো আমির চৌধুরীর ঘরে। ওরা কিছুটা জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে তাকালো আমির চৌধুরীর মুখের দিকে।
আমির চৌধুরী বেশ সময় নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে কিছু বর্ণনা করে যা বললো তাতে বোঝা গেল রামচন্দ্রের স্ত্রীর কঠিন একটা রোগ হয়েছে। যার নিশ্চিত কোন চিকিৎসা এখানে নেই। ধরিত্রীকে নিয়মিত ঔষধ আর পথ্যের উপর রাখলে হয়তো বেশ কিছু দিন বাচতে পারে। আর অনিয়ম হলে খুবই ক্ষতি হবে।
আমির চৌধুরী রামচন্দ্রকে অভয় দিয়ে বললেন যে, শহর থেকে নিয়মিত ঔষধপত্র তিনি পাঠিয়ে দেবেন তার জন্য রামচন্দ্র যেন কখনো দুশ্চিন্তা না করে।
এত বছরের চেনা প্রথিবীটা নিমেষেই রামচন্দ্রের যেন অচেনা হয়ে গেল। ছোট্ট ছেলের সামনে নিজেকে অনেক কষ্টে সামলে নিল। জীবনের এই সন্ধিক্ষনে দাড়িয়ে সব কিছুই, সব পরিকল্পনা, সব হিসাব এলোমেলো হয়ে যেতে লাগলো।
রামদয়ালকে কাছে ডেকে নিয়ে বললো -বাবা তোর মা যেন এর কিছুই ঘুর্নাক্ষরেও না জানতে পারে যে ওর আযুস্কাল এখন দিনের গোনাতে বাধা।
-প্রতিদিন সূর্য্য ডুববে আর ধরিত্রী একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাবে। বাবা আমরা দুজনে মিলে ওর বাচার সময়টা বাড়িয়ে দেব।
কথাগুলো বলতে রামচন্দ্রের চোখদুটো অশ্রুসজল হয়ে উঠল।
রামদয়াল হতবাক হয়ে বাবার দিকে তাকিয়ে রইল।

তারপর থেকে প্রতিদিন নিজের মনের গভীরে স্ত্রীর আয়ুস্কালের দিনগুলো গুনতে গুনতে নিজেরটা গুনতে বোধহয় ভুলে গেল রামচন্দ্র। একটা বছর পার হওয়ার আগেই স্ত্রী পুত্রকে ফেলে ওপরে চলে গেল রামচন্দ্র। এর পর প্রায় পাচ বছর বেচে ছিল ধরিত্রী। ওর আয়ুস্কালটা বোধহয় আরেকটু লম্বা হতো যদি স্বামীর অকাল মৃত্যুর শোকটা বুকের মধ্যে বহন করতে না হতো।
জীবনের হিসেবের অংকটা মিলাতে পারেনি ওর বাবা রামচন্দ্র।
কোন হিসেবই তায় রামদয়ালও রাখতে চায়না। মাকে রেখে ওর সুস্থ বাবার মৃত্যু জীবনের হিসেবটা অংকের সংখ্যায় মিলানো যায়নি সেটা বুঝেছে রামদয়াল।
কিন্তু এটা পরিসংখ্যানের যুগ তায় এখন থেকে সব পরিসংখ্যান ওকে লিখে রাখতে হবে। পুরনো সব তথ্যগুলো এক এক করে স্মৃতির পাতা উল্টিয়ে উল্টিয়ে মনে করে করে লিখতে হবে।
খুক খুক করে কাসতে কাসতে জমিদারকে সালাম দিয়ে আনত মস্তকে বেরিয়ে আসলো রামদয়াল।

রোগী আর হারবাল বাগানের সব প্রজাতির পরিসংখ্যান ওর কপালের রেখা আর মুখের উপর কুঁচকে যাওয়া চামড়ার প্রতি ভাজে ভাজে লেখা আছে। প্রতিটি রোগীর নাম, চেহারা আর প্রতিটি ঔষধি গাছের যাবতীয় সবকিছুই ওর মনের গভীরে লালিত আছে। রামদয়াল চিকিৎসা আর হারবাল বাগানটার যত্ন নেয়ার কাজ করে যতটা না ওর মাথা খাটিয়ে তার থেকে বেশী করে হৃদয় দিয়ে।
আয়ুর্বেদ চিকিৎসা শাস্ত্র ওর প্রতিটি রক্ত কনায় মিশে আছে। আয়ুর্বেদ বাগানের প্রতিটি গাছ গাছড়া আর রোগীদের সব ইতিহাস লেখা আছে ওর প্রতিটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গ।

একদিন গভীর রাতে কিসের যেন আওয়াজে রামদয়ালের ঘুম ভেঙে গেল। সারা শরীর মনে এক অজানা অস্বস্তি। বাইরে ঝাপটা বাতাস আর টিপ টিপ করে বৃষ্টি পড়ছে। মনে হচ্ছে কোথাও যেন কিছু একটা ঘটছে।
ভারী অস্বস্তি বোধ করতে লাগলো রামদয়াল। ওর নিজের শারীরিক বা মানসিক তেমন কোন সমস্যা ছিল না।
তাহলে হল কি! কি ধরনের শব্দে ওর ঘুম ভাঙল সেটা বারান্দায় বসে রামদয়াল মনে করার চেষ্টা করতে লাগলো।
ঝাপটা বাতাসে বৃষ্টির ফোটা এসে চোখে মুখে ছিটকে এসে লাগতে লাগলো। নিকোষ কালো অন্ধকারের বুক চিরে অবিরাম বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে। তাতে গাছ পালার ডাল ঝাকুনি পরিষ্কার চোখে পড়তে লাগলো।
-ওরা কি কিছু বলতে চায়? ভাবছিল প্রকৃতি পূজারী রামদয়াল।
ওর রোগীদের চেহারা এক এক করে চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো।
হটাৎ করে মনে পড়লো দুপুরে হেডমাষ্টার সাহেব তার দশ বছরের ছেলেটাকে তল পেটে ভীষণ ব্যাথা নিয়ে ওর কাছে এনেছিল। ছেলেটাকে দেখে শুনে কিছু অসুদ দিয়েছিল ব্যথাটা কমার জন্য।
রামদয়াল হেডমাষ্টারকে বললো- মাষ্টার মশায় আমার ভাল ঠেকছে না। এ অসুদে ব্যথা একটু কমবে কিন্তু রোগ সারবে না। আপনি যত তাড়াতাড়ি পারেন ছেলেকে সদরে নিয়ে যান।
মাষ্টার মশায় যেতে যেতে বেলা গড়িয়ে গিয়েছিল। তারপর থেকেই আকাশ কালো হয়ে ঝড় বৃষ্টিও শুরূ হয়ে গেল।
-তাহলেতো মাষ্টার মশায় ওর ছেলেকে নিয়ে সদরে যেতে পারেনি! কি ভেবে ব্যথা কমানোর অতিরিক্ত কোন ডোজও দিয়ে দেয়নি রামদয়াল।
-রাতে ছেলেটার যদি আবার ব্যথা ওঠে! এই ঝড় জলের মধ্যে ওকে নিয়েতো মাষ্টার মশায় আসতে পারবে না।
কথাটা ভাবতেই রামদয়াল চমকে উঠল।

বাইরে পাথর কালো অন্ধকার। ছাতাটা মাথায় দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসলো রামদয়াল। ওর ঘরের সামনে কিছুটা খালি জায়গা তার পরেই আয়ুর্বেদ বাগানের শুরূ। বিদ্যুৎ চমকানোর আলো ছাড়া কোন আলোর চিহ্ন কোথাও নেই।
ডাক্তারখানাটা এত রাতে খোলার ঝামেলা না করে ও হন হন করে হেটে বাগানটার মধ্যে প্রবেশ করে অন্ধকারের মধ্যেই দু একটা গাছ তুলে নিল। জমিদার বাড়ীর প্রধান ফটকটা বন্দ। দারোয়ান রামদয়ালকে দেখে একটুও অবাক হলো বলে মনে হলো না।
দারোয়ান বিনা বাক্যে ফটকটা খুলে দিতেই রামদয়াল ছাতা মাথায় নিকোষ কালো অন্ধকারের মধ্যে নিমেষে মিলিয়ে গেল।
বিদ্যুৎ চমকানির আলোকে যতদুর দেখা যায় তাতে ভর করেই ও এগিয়ে চললো সরূ জংগলের ভিতর দিয়ে একেবেকে যাওয়া একপেয়ে পথ ধরে। অন্ধকার বা প্রতিকুল আবহাওয়া কখনোই রামদয়ালকে ওর কর্তব্য থেকে বিরত রাখতে পারে না।
ঝড়ের ঝাপটায় ওর ছাতাটা সামলিয়ে চলতে যেয়ে গতি বেশ স্লথ হয়ে আসছিল। এ অঞ্চলের প্রতিটি বাড়ী, মাঠ প্রান্তর, রাস্তা ওর নখদর্পনে। ছোট থাকতে বাবার হাত ধরে আর তিনি মারা যাওয়ার পর একাকীই মানুষের সেবায় মাঠ ঘাট প্রন্তরে ঘুরে বেড়ায় রামদয়াল।

মাঝে মধ্যে থেমে চশমাটা মুছে না নিলে হচ্ছে না।
চশমাটা খুলে মুছে নিতে নিতে হটাৎ করেই পাশের জংগল থেকে আচমকা বেরিয়ে কয়েকজন ওর পথ আগলে দাড়ালো।
-আরে কবিরাজ!
পথ আগলে দাড়ানো ডাকাত দলের একজনের কণ্ঠ থেকে ইতস্ততঃ স্বর।
-কার বাড়ী যাবেন কবিরাজ মশায়।
ওদের একজন শ্রদ্ধাভরা কণ্ঠে জিজ্ঞেস করলো।
মাষ্টার মশায়ের বাড়ী বলে জানালো রামদয়াল।
-চলুন আপনাকে পৌছে দিচ্ছি।
রামদয়ালের কোন আপত্তিই শুনলো না ওরা। টর্চ জ্বেলে জ্বেলে ওকে পথ দেখিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো।
- কবিরাজ মশায়, সেদিন আমার ছোট মেয়েটার কানের ব্যথার যে অসুদ দিয়েছিলেন তা লাগিয়ে ও ঠিক হয়ে গেছে।
ওদের একজনের কথায় তাকে মনে পড়লো রামদয়ালের। নামটা মনে পড়লো না তবে মুখটা দেখলে ও অবশ্ব্যই চিনবে ওকে।
-তোর মেয়ের যে পেট ভর্তি কৃমি দেখেছিলাম তার জন্য যা যা করতে বলেছিলাম তা তোর বউকে বলেছিসতো।
জবাব না পেয়ে রামদয়াল ওকে বকুনি দিয়ে বললো- কার মাথায় কখন বাড়ি দিয়ে সব কেড়ে নিবি কেবল সে চিন্তা মাথায় গিজ গিজ করে। মেয়েটা মরে গেলে এত সব করে কি হবে, কে খাবে তোর পাপের রোজগার?
কেউ কিছু বললো না জবাবে।
-বলেছিলিতো ঐ একটায় মেয়ে, তা ওর দিকে একটু আধটু নজর দিস। নাহলে দেরী হয়ে যাবে।

মাষ্টারের ঘরে হেরিক্যান জ্বলছে। বেড়ার ফাক দিয়ে আলোর রশ্মি দেখা যাচ্ছে। ছেলেটার গোঙরানির শব্দ কানে এলো।
এমনি একটা শব্দেই ঘুম ভেঙ্গেছিল, মনে পড়লো রামদয়ালের।
-ছেলেটাকে সদরে নিতে পারনি?
মাষ্টারকে ঘরের বারান্দায় পেয়েই জিজ্ঞেস করলো রামদয়াল।
-বৃষ্টি বাদলার জন্য নিতে পারিনি।
রামদয়াল ছেলেটার তলপেটে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললো -অপারেশান করতে হবে তাড়াতাড়ি নয়লে নাড়ী ফেটে যাবে।
রামদয়াল ওর কাপড়ের প্যাকেট থেকে কিছু লতা শেকড় বের করতে করতে মাষ্টারের কাছে বাটি আর চামচ চায়লো।
খুব ব্যস্তভাবে ওগুলোর রস বের করতে করতে রামদয়াল ওর সাথে আসা ডাকাত দলের ছেলেদের উদ্দেশ্য করে বললো -দা নিয়ে বাশ কেটে আন তারপর চাদর শাড়ী যা পাওয়া যায় তা দিয়ে দোলা বানা। তাড়াতাড়ি কর, ছেলেকে এখনই সদরে নিতে হবে, না হলে দেরী হয়ে যাবে।
রামদয়ালের কথায় ওদের মধ্যে যেন বিদ্যুৎ চমক দিল।
রামদয়াল মাষ্টারের ছেলের মুখে পাতা শেকড়ের রস দিতে দিতে ওরা বাশ কেটে নিয়ে আসলো। চারজন মিলে ষ্ট্রেচার বানাতে বেশী সময় লাগলো না।
ছেলেটাকে ষ্টেচারে ওরা চারজন মিলে সেটা কাধে তুলেই রওয়ানা হলো।
সদরে পৌছাতে পৌছাতে সকাল প্রায় আটটা বাজলো।
অপারেশান করা হলো। ডাক্তার বললো আর একটু দেরী হলে রোগীকে বাচানো কষ্ট হতো।